ষাটের দশকে রাষ্ট্রভাষার নামে ‘উর্দু বনাম বাংলা ভাষা’ বিতর্ককে কেন্দ্র করে আন্দোলন হওয়া তমুদ্দিন মজলিসের মূল ভূমিকায় সেক্রেটারির পদে ছিলেন কথাশিল্পী শাহেদ আলী এবং সভাপতি ছিলেন সিলেটের প্রভাবশালী চিন্তক ও দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ। পরবর্তীতে অবশ্য শাহেদ আলীও মজলিসের সভাপতি হন এবং ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে খেলাফতে রব্বানী পার্টির নমিনেশনে সুনামগঞ্জ থেকে শাহেদ আলী আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন।
৫২’র ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা রাখা আরেক গুরুত্বপূর্ণ নারীর নাম প্রফেসর চেমন আরা। তখন তিনি ইডেন কলেজের ছাত্রী। ৪৭’ সালের দেশ ভাগের পর তিনি অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে গঠিত ‘পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিসে’র সাথে যুক্ত হন। যৌবনের উদ্বেল জোয়ার, অসম সাহসিকতা ও শাহেদ আলীর প্রভাব তাকেও নিয়ে গিয়েছিল ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে। শাহেদ আলী ২০০১ সালে ৭৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করলেও তার সহধর্মিণী অধ্যাপিকা চেমন আরা ৮৬ বছর বয়সে এসেও যেন শাহেদ আলীর ঘরের একজন বটবৃক্ষ। সতেজ মন, প্রখর স্মৃতিশক্তি, বিনম্র আলাপের ধরন ও মায়া মাখা হাসি উনার লেখিকা সত্তার চাঞ্চল্যতাকে খুব করে ফুটিয়ে তোলে।
বাঙালি মুসলিম জাতিবাদী চিন্তক ও বুদ্ধিজীবী ডাক্তার ফাহমিদ-উর-রহমানের সাথে শাহেদ আলী সাহেবের বাসায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। সাথে ছিলেন ‘মক্তব প্রকাশনীর’ কর্ণধার আব্দুস সালাম ও ফরিদপুরের গনবুদ্ধিজীবী, সমাজ সেবক আব্দুস সামাদ সাহেব। এটা একদিক থেকে আমার জন্য ছিল ইতিহাসের এক রুদ্রধারার সাথে পরম সাক্ষাৎ, পাশাপাশি নতুন করে ঐতিহ্যের শেকড়ে নিজেকে বেঁধে ফেলার এক অনন্য সুযোগ। তাই যাওয়ার কথা শুনেই একবাক্যে মেনে নিয়েছিলাম।
শাহেদ আলীর সাথে ফাহমিদ স্যারের সখ্যতা বহুদিনের। ছাত্র অবস্থা থেকেই তিনি শাহেদ আলীর বাসায় আসা যাওয়া করেন। তাদের আলাপচারিতায় উঠে আসতো পূর্ব বাংলার বাঙালি মুসলমানের সমাজ রাজনীতির বহুবিধ চালচিত্র। ফাহমিদ স্যারের বাসা থেকে রওয়ানা করে শাহেদ আলী সাহেবের বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত বিচিত্রময় ভাব-আলাপচারিতায় জমে উঠে আমাদের যাত্রাপথ।
আমি আহমদ ছফার ‘যদ্যপি আমার গুরু’ নিয়ে কথা তুলেছিলাম। ফাহমিদ স্যারও আমার কথায় সায় দিয়ে বলছিলেন, “ছফার মতো একজন বামপন্থী লেখক শেষ জীবনে এসে জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাকের মুসলমানি রাজনৈতিক চরিত্র তুলে ধরলেও বইয়ের শেষে তাকে আবার সেক্যুলার চেতনায় ধারণকারী বলে অবিহিত করেছেন। কিন্তু, রাজ্জাক ছফার কথার আলোকে সেক্যুলার হলেও তার সেক্যুলার চরিত্রকে যদ্যপিতে তুলে ধরা হয়নি।” এই বইয়ের সবচেয়ে বড় ধূম্রজালটা তার চোখে এই জায়গায়।
ফাহমিদ স্যারের মতে, এর দুইটা কারণ হতে পারে। এক. শেষ জীবনে এসে ছফার মধ্যে ধর্মের প্রতি আলাদা আকর্ষণবোধ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকা। কারন, ছফার জীবনের শেষ দিকে বিভিন্ন খানকা, মাজার বা পীর-আউলিয়ার কাছে যাওয়ার খবর শোনা যায়। যার ফলে, তিনি রাজ্জাকের সেক্যুলার বাঙালি জাতীয়তাবাদী দিককে বাদ দিয়ে শুধু মুসলমানি ভাবধারার চরিত্রকেই তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়েছেন। দুই. রেহমান সোবহানের টু-ইকোনোমিক থিওরি, আনিসুজ্জামানের বাঙালি মুসলমানের স্বাতন্ত্র্যিক পরিচয় বিনির্মানে হীনমন্যতা, তরফদারদের বাঙালি জাতীয়তাবাদী ইতিহাস বিনির্মানের উৎসাহ, ছয় দফার প্রনয়ণে রাজ্জাকের ভূমিকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনের সফল উৎসাহদাতা হিসেবে রাজ্জাকের এসকল বাঙালি জাতীয়তাবাদী কাজকর্ম ছফার অগোচরেই সম্পন্ন হয়েছিল। ফলে তিনি তা তুলে আনার উৎসাহবোধ মনে করেননি।
এভাবেই কথা চলতে চলতে প্রায় ঘন্টাখানেক পর আমরা শাহেদ আলী সাহেবের বাসায় পৌঁছাই। আমাদের সাথে এসে মাঝপথে যুক্ত হয়েছিলেন আব্দুস সামাদ সাহেব। শাহেদ আলী সাহেবের বাসায় প্রবেশ করে কিছুক্ষণ বসার পর উনার একজন ছেলে আমাদের সাথে এসে খোশগল্প শুরু করেন। আলাপের এক পর্যায়ে তিনি তমুদ্দুন মজলিসের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে কিছু কথাবার্তা বলেন। যে সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন উনার বাবা-মা দু’জনেই। তিনিও সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। কিন্তু, সংগঠনটির বর্তমান দুর্দশা, লক্ষহীন পথচলা ও নেতৃবৃন্দের অদক্ষতা বা আধুনিক যুবসমাজের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে না পারার ব্যাপারে খারাপ লাগা ব্যক্ত করেন তিনি। এই সংগঠন ভাষা আন্দোলনের সময় মূখ্য ভূমিকা পালন করলেও পরবর্তী এখানকার অনেক নেতাকর্মীই তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে আলাদা হয়ে যান।
তিনি জানান, মজলিসের সভাপতি আবুল কাশেম সাহেব কলকাতার পি সি দাশ থেকে টাকা নিয়ে আন্দোলন চালাতেন। তখন তারা বুঝে উঠতে পারেননি এর মাধ্যমে তারা কিভাবে কলকাতার হিন্দু কংগ্রেসদের স্বার্থ পূরণ ও এদেশীয় কমিউনিস্টদের চিন্তা-কাঠামোয় ফাঁদে পা ফেলেছিলেন। তৎক্ষণাৎ, আমি ফাহমিদ স্যারকে জিজ্ঞেস করলাম, এই তথ্যটি উনার জানা আছে কিনা? আমার কাছে পুরোই নতুন ছিল। তিনি বললেন, এটা তার জানা আছে। বদরুদ্দীন উমরের একটা বইতেও এই বিষয়ে আলাপ করেছেন বলে জানালেন। তাছাড়া, শাহেদ আলী সাহেবও বেঁচে থাকা অবস্থায় উনাকে জানিয়ে ছিলেন৷ কিন্তু, তথ্যসুত্রের অভাবে এটা একটু পিছনে পড়ে গেছে। স্যার জানান, পরবর্তীতে, তমুদ্দিন মজলিশ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একটা গ্রুপে ছিলেন, ড. হাসান জামান, সানাউল্লাহ নূরি ও শাহেদ আলীদের মত ব্যক্তিরা। পরবর্তীতে তারা আলাদা হয়ে যান।
ঐ জায়গায় আরো অনেক বিষয়ে আলাপ উঠে আসে। প্রফেসর চেমন আরা বার্ধক্যের শেষ দিনগুলো পার করছেন। উনাকে আমাদের সামনে এনে বসালে সামাদ সাহেব উনার পা ধরে সালাম করেন। ‘শাহেদ আলী স্মৃতি সংসদে’র কাজকর্মের ব্যপারে তারা কিছু কথাবার্তা বললেন। তিনি ম্যামকে জানালেন, শাহেদ আলী স্যারকে উৎসর্গ করে ফাহমিদ-উর-রহমান সাহেব একটা বই বের করেছেন। বইটি মুহাম্মদ আসাদ কে নিয়ে একটি স্মারক গ্রন্থ। যেহেতু, শাহেদ আলী সাহেবই বাংলাদেশে মুহাম্মদ আসাদকে সর্বপ্রথম পরিচিত করিয়েছেন। তাই উনাকে উৎসর্গ করা বইটি প্রফেসর চেমন আরার হাতে তুলে দিতেই তার এই পর্যন্ত আসা৷ সেখানে সালাম তো প্রকাশক হিসেবে উপস্থিত ছিল। কিন্তু, আমার পরিচয় নিয়ে টেনশনে ছিলাম। পরে আমার পরিচয় ফাহমিদ স্যার নিজেই দিয়ে দেন ‘শাহেদ আলী সাহেবের ভক্ত’ বলে। এমনভাবে পরিচিত করানোতে আমারও বেশ ভালো লেগেছিল। মনে মনে পুলকিত অনুভব করলাম।
অবশেষে ‘মুহাম্মদ আসাদ ; বাংলাদেশের অভিবাদন’ বইটি ম্যামের হাতে দেওয়া হলো। ফাহমিদ স্যার ছবি তুললেন উনার সাথে। আব্দুস সালামও সেখানে স্যারের সাথে যুক্ত হয়। সাথে আরো একজন লেখকও ছিলেন। যিনি কিনা শাহেদ আলী সাহেবের উপর কোন কাজ করার জন্য সেখানে এসেছেন। আমি ক্যামেরা হাতে ছবি তোলার দায়িত্বে ছিলাম। সেখানে আমাদের বয়সী একজন ভাইয়া ছিলেন। রাজু নাম। খুব সম্ভবত, শাহেদ আলী সাহেবের ছোট ছেলে হবেন। ম্যামের নির্দেশ মোতাবেক আমাদেরকে উনার লেখা ‘নির্বাচিত গল্প সমগ্র’ বই উপহার দেন। বই হাতে নেওয়ার পর সালাম চেমন আরা ম্যামের হাতের অটোগ্রাফ নিলে আমিও এগিয়ে যাই একটা অটোগ্রাফ নিয়ে নেই।
সেখানে ঘন্টাখানেক ছিলাম আমরা। নাস্তা করলাম। ফাহমিদ স্যারের সাথে ম্যাম বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বললেন। উনার বিয়েতে শাহেদ আলী ও ম্যাম দুইজনেই উপস্থিত ছিলেন। ম্যাম উনাকে বললেন,’তুমি আগে যখন আসতে তখন অনেক ছোট ছিলে।’ স্যারও উনার কথায় সায় দিলেন। একটা পর্যায়ে কথাবার্তা শেষ করে আমরা আবার গাড়িতে করে স্যারের বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। সামাদ সাহেব সেখানেই থেকে যান।
আসার পথে কথায় কথায় বদরুদ্দীন উমরকে নিয়ে আলাপ উঠে। ফাহমিদ স্যার উমরকে নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেন। আমরা আনমনে শুনতে থাকি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র সৎ বাম ধারার বুদ্ধিজীবী বললে বদরুদ্দীন উমরের নামই সবার প্রথমে থাকবে। কিছু তো আছে পঁচা বাম। তিনি তাদের মত নন। উমর অসংখ্য বই লিখেছেন, কিন্তু তার মৌলিক অবদানমূলক কাজ ৩/৪ টার বেশি হবে না। সাম্প্রদায়িকতা, সংস্কৃতির সংকট, সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা ও পূর্ব বাংলার ভাষা ও রাজনীতি নামক বইগুলো তার মধ্যে অন্যতম। উমরের রাজনৈতিক সততা ও সত্য প্রকাশের দৃঢ়তা থাকার ফলে রাষ্ট্রের সরকারি দল, বিরোধী দল তো আছেই খোদ বাম ধারার দলগুলোই তাকে সর্বদা দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা চালায়।
হঠাৎ করে আমি বলে উঠলাম, উনার সাম্প্রদায়িকতা বইয়ের জন্য এবনে গোলাম সামাদকে একটা রিভিউ লিখতে বলেছিলেন। সামাদের রিভিউর সারমর্ম ছিল অনেকটা ঝাঁজালো বা সমালোচনাধর্মী। তার মতে, উমরদের মত লোকেরা ওপার বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার কারণে থাকতে না পেরে রিফুজি হিসেবে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হন।সেই তিনিই কিনা এদেশে এসে মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার ঘ্রাণ খুঁজে পান। কি পরিমাণ ডাবল স্ট্যান্ডার হলে হতে পারে। আমার সাথে স্যার কথা যুক্ত করে বললেন, শাহেদ আলী সাহেব প্রায়ই বদরুদ্দীন উমর সম্পর্কে তার বাবা আবুল হাশিমের একটি মন্তব্য কোট করতেন। তা হলো,”উমর আমার বায়োলজিকালি সন হইলেও ইডিয়লজিকালি সন না।” কথাটা শতভাগ সত্যই ছিল।
এসকল বিষয়ে আলাপসালাপ চলার মাঝখানে শাহেদ আলী সাহেবের লেখালেখি নিয়ে স্যার কথা তোলেন।
তার মতে, শাহেদ আলী সাহেব দুইটা অনবদ্য কাজ করেছেন। যেটি তাকে বাংলা সাহিত্যের শিখরে নিয়ে গেছে। এক. দ্যা রোড টু মক্কা বইয়ের অনুবাদ করে, দুই. জিব্রাইলের ডানা (১৯৫৩) লিখে। তিনি আরো অসংখ্য বিষয়ে লেখালেখি করেছেন। সব মিলিয়ে ২৮ টির মতো বই উনার। সেগুলির গুরুত্বও অনেক। কিন্তু, এ দুইটা স্পেশাল। অনবদ্য কাজ। তার মতে, ‘জিব্রাইলের ডানা’ হলো আমাদের বাঙালি মুসলমানের ‘পথের পাঁচালি’। দীর্ঘ সময় এই বইটা নিয়েই আলাপ হয়। স্যার বইয়ের বিভিন্ন চিত্র তুলে কথা বলেন। এসব আলোচনা-সমালোচনা, হাসাহাসির মাধ্যমেই আমি আর সালাম স্যারের সাথে উনার বাসায় চলে আসি।
শাহেদ আলীরা বাংলাভাষার জন্য আন্দোলন করেছিলেন। ভারতীয় উপনিবেশের জিঞ্জিরে নতুন করে, নতুন সূরে বাংলাকে এক অন্ধকার জগতে প্রবেশ করার পথ তারাই খুলে দিয়েছিলেন। তারা হয়তো সেদিন বুঝতে পারেন নি। তাদের সাথে আরো অসংখ্য ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গ এসে জড়িত হয়েছিল। কমিউনিস্ট জুজু তাদেরকে ফাঁদে ফেলে দিয়েছিল। তারা মালুৃমও করতে পারেন নি। কিন্তু,একটা সময় তাদের বোধদয় হয়। তখন পরিবেশের বিবর্তন ঘটে গেছে। চারদিকে নেকড়ের জাত্যভিমান শুরু হয়ে গেছে। তারাও অসহায় হয়ে পড়েন। কিন্তু, ভুল শুধরানোর পথ খুঁজে পান নি। সেই অবেলার না শুধরানো দিনগুলো আজকের জুলুমের দরিয়ার অনন্য প্রতিক।
আমাদের কাছে একজন রাজনৈতিক শাহেদ আলীর চেয়েও একজন কথাশিল্পী শাহেদ আলীর ভূমিকা অনেক বিশাল। তার অবদান অতুলনীয়। সাহিত্যের ধর্মাশ্রয়ে গড়ে তুলেছিলেন এক বিশ্বাসী সীসাঢালা প্রাচীর। তার সহধর্মিণী প্রফেসর চেমন আরাও তার ব্যতিক্রম নন। উনিও একজন কথাশিল্পী। শৈশবের দিনগুলোতে উনার লেখা গল্প, ভ্রমণকথা পড়তাম। তাই যৌবনের চিলেকোঠায় দাড়িয়ে উনাকে সামনে থেকে দেখতে পাওয়ায় আমার হৃদয়ে এক অবিশ্বাস্য ভালোবাসা ও অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ অনুভূত হয়েছিল।
কয়েক ঘন্টার একটা ছোট্ট ভ্রমণ ছিল বলা যায়। কিন্তু, এই স্বল্প সময়ে আমার শেখার পাল্লা ছিল অনেক। এই ভ্রমণের মাধ্যমেই শাহেদ আলী সাহেব যেন তার ভালোবাসার অষ্টেপৃষ্ঠে আমায় জড়িয়ে নিয়েছেন। আমার কেন জানি মনে হয়েছে, উনার প্রতি ঋণী হয়ে গেছি। তাই মনে মনে ঠিক করেছি। কখনো যদি সুযোগ হয় শাহেদ আলী স্যারকে নিয়ে একটু কলম ঘুরাবো। প্রফেসর চেমন আরা ও বাদ পড়বে না। ইনশাআল্লাহ।