পৃথিবীর সবগুলো মসজিদে একটি মিম্বার থাকে। কিন্তু, পৃথিবীতে এমন একটা মসজিদ আছে, যে মসজিদে দুটো মিম্বার। বলতে পারবেন সেটা কোন মসজিদ? কেনই বা সেই মসজিদে দুটো মিম্বার? মসজিদটি হলো মসজিদে নববী বা নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদ। নবীর (সা.) মসজিদের এক মিম্বারে তিনি খুতবা দিতেন, আরেক মিম্বারে কবি হাসসান বিন সাবিত (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কবিতা আবৃত্তি করতেন।
কাফিররা নবীর শানে অপবাদ দিয়ে যেসব কবিতা লিখতো, হাসসান বিন সাবিত সেগুলোর জবাবে পাল্টা কবিতা লিখতেন। নবী দোয়া করেন, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) যেন হাসসানকে কবিতা লিখতে সাহায্য করেন। হাসসানের কবিতা শুনে নবী বলতেন- “তাঁর কবিতা তীরের আঘাতের চেয়েও তীব্র আঘাত করে।”
হাসসান বিন সাবিত পরিচিতি লাভ করেন ‘রাসূলের কবি’ নামে। নবী তাঁর কাব্য প্রতিভার স্বীকৃতিস্বরূপ মসজিদে একটা মিম্বার বানানোর আদেশ দেন। যেই মিম্বার থেকে হাসসান কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম, নবীর মসজিদটি ছিলো যেমন দ্বীনের চর্চা কেন্দ্র, তেমনি ছিলো সাহিত্যের চর্চা কেন্দ্র। নবীর মসজিদ থেকে যেমন দ্বীনি নির্দেশনা আসতো, তেমনি কাফিরদের জবাবে সাহিত্য রচনাও হতো।
ফেইসবুকের ‘মিম্বার’ গ্রুপটি একইসাথে দ্বীনি ইলমের চর্চা কেন্দ্র, পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র। গ্রুপটি দেখে আমার নবীর (সাঃ) যুগের, নবীর (সাঃ) মসজিদের কথা মনে পড়লো। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ যেন এই গ্রুপটাকে কবুল করেন। মসজিদে নববীর মিম্বার থেকে যেমন মদীনায় আওয়াজ ভেসে আসে, তেমনি এই গ্রুপটাও যেন বাংলার ইথারে আওয়াজ পৌঁছে দেয়।