জুমার দিনের দশম আমল হচ্ছে, সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা। তাহলে এর আগের নয়টি কী বলেছেন ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)? আচ্ছা বাকি নয়টি জানার আগে তাঁর কলমে সূরা কাহফের ফযিলত বলে নিই। তিনি লিখেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন– “যে ব্যক্তি জুমু’আর দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, তিলাওয়াতকারীর পা থেকে আকাশ পর্যন্ত একটি ‘নূর’ জ্বলজ্বল করবে, যা কিয়ামতের দিন আলো দেবে। এবং তার দুই জুমু’আর মধ্যবর্তী গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” [সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী: ৫৯৯৬]
এত বৃহৎ ফযিলত, মিস করা যায়?
এবার দশের আগের বাকি নয়টি একটু দেখি। ইবনুল কায়্যিম রাহ. লিখেন,
- নবম আমল হচ্ছে, খুতবার সময় চুপ করে থাকা।
- অষ্টম আমল, মসজিদে বসে ইমাম সাহেব খুতবার জন্যবাসা পর্যন্ত সালাত, যিকর, তিলাওয়াতে মগ্ন থাকা।
- সপ্তম আমল, আগেভাগে মসজিদে গমন করা।
- ষষ্ঠ আমল, মিসওয়াক করা।
- পঞ্চম আমল, সুগন্ধি ব্যবহার করা।
- চতুর্থ আমল, গোসল করা।
- তৃতীয় আমল, জুমু’আর নামায পড়া। (যোহর নয়)
- দ্বিতীয় আমল, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর অধিক হারে দরুদ পাঠ করা।
- প্রথম আমল, জুমু’আর দিন ফজরের নামাজে সূরা আলিফ-লাম-মিম তানযিল এবং সূরা দাহর তিলাওয়াত করা।
আগামী জুমু’আ পর্যন্ত হায়াতে বাঁচবো- এ নিশ্চয়তা মোটেই নেই। তাহলে আজকের আমল কালকের জন্য ফেলে রাখবো কোন আশায়? আর দুইটা আমল যোগ করি—প্রথমটি হচ্ছে, দুই খোতবার মধ্যখানে দু’আর এহতেমাম করা। এ সময় দু’আ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কয়েক বছর পত্রিকায় এক খতিব সাহেবের হজ্বের অনুভূতি ছাপা হয়েছিল। তো খতিব সাহেব বলেছেন, তিনি প্রতি জুমু’আয় দুই খোতবার মধ্যবর্তী সময়ে হজ্বের তাওফিক চেয়ে দু’আ করতেন।
আলহামদুলিল্লাহ শেষ পর্যন্ত আল্লাহপাক তাকে হজ্বের জন্য কবুল করেছেন। বুঝে আসছে তো? আরেকটি আমল, আসর পরে দু’আর এহতেমাম। হাদিসে আছে, জুম’আর দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যে মুহূর্তে বান্দা যা চায়, আল্লাহপাক তা কবুল করেন। উলামায়ে কেরাম বলেন, এ মাকবুল মুহূর্ত আসর থেকে মাগরিবের মধ্যখানে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই গুরুত্ব দেওয়া দরকার।