মিম্বার
  • মূল পাতা
  • বিষয়শ্রেণী
    • বেসিক ইসলাম
      • আক্বিদা
      • নামাজ
      • রোজা
      • হজ্জ
      • যাকাত
      • পর্দা
      • জিহাদ
      • আখিরাত
      • সুন্নাত
    • বেসিক ইলম
      • উলুমুল কোরআন
      • উলুমুল হাদিস
      • সিরাতে রাসুল
      • ইসলামি শরীয়াহ
      • ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা
      • তাযকিয়াতুন নাফস
      • ইসলাম ও অর্থনীতি
      • ইসলাম ও রাজনীতি
      • ইসলাম ও সমাজনীতি
    • জীবনী
      • নবীদের জীবনী
      • সাহাবায়ে কেরামের জীবনী
      • ইসলামি মনীষীদের জীবনী
      • কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী
    • সমস্যা, সম্ভাবনা ও প্রতিকার
      • যুব সমস্যা
      • প্যারেন্টিং
      • সময় ব্যবস্থাপনা
      • সাংস্কৃতিক আগ্রাসন
      • ধর্ষণ
      • সুদ
      • সংশয় নিরসন
      • মাদকাসক্তি
      • পর্নোগ্রাফি
      • সমসাময়িক
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
      • বাংলার ইতিহাস
      • উপমহাদেশের ইতিহাস
      • ইসলামের ইতিহাস
      • বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস
    • ইসলাম ও মতবাদ
      • গণতন্ত্র
      • সমাজতন্ত্র
      • রাজতন্ত্র
      • পুঁজিবাদ
      • উদারতাবাদ
      • নারীবাদ
      • মুসলিম দর্শন
      • অন্যান্য মতবাদ
    • সাহিত্য-সাময়িকী
      • গল্প
      • কবিতা
      • প্রবন্ধ
      • রম্যগল্প
      • সাহিত্য সমালোচনা
      • বুক রিভিউ
      • ফিচার
    • বিজ্ঞান
      • ডক্টর’স চেম্বার
      • মুসলিম বিজ্ঞান
      • করোনা
      • সায়েন্স ফিকশন
    • সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
      • ঈদুল ফিতর
      • ঈদুল আজহা
      • হিজরি নববর্ষ
      • কারবালা
      • মহররম
      • হামদ
      • নাতে রাসুল
      • ইসলামী গান
    • অন্যান্য
      • বাংলাদেশ
      • শিশুতোষ
      • মাসয়ালা-মাসায়েল
      • প্রত্যাবর্তন
      • উম্মাহর সংকট ও সমাধান
      • ভ্রমণকাহিনী
  • নোটিশ
  • ম্যাগাজিন
  • যোগাযোগ
No Result
View All Result
  • মূল পাতা
  • বিষয়শ্রেণী
    • বেসিক ইসলাম
      • আক্বিদা
      • নামাজ
      • রোজা
      • হজ্জ
      • যাকাত
      • পর্দা
      • জিহাদ
      • আখিরাত
      • সুন্নাত
    • বেসিক ইলম
      • উলুমুল কোরআন
      • উলুমুল হাদিস
      • সিরাতে রাসুল
      • ইসলামি শরীয়াহ
      • ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা
      • তাযকিয়াতুন নাফস
      • ইসলাম ও অর্থনীতি
      • ইসলাম ও রাজনীতি
      • ইসলাম ও সমাজনীতি
    • জীবনী
      • নবীদের জীবনী
      • সাহাবায়ে কেরামের জীবনী
      • ইসলামি মনীষীদের জীবনী
      • কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী
    • সমস্যা, সম্ভাবনা ও প্রতিকার
      • যুব সমস্যা
      • প্যারেন্টিং
      • সময় ব্যবস্থাপনা
      • সাংস্কৃতিক আগ্রাসন
      • ধর্ষণ
      • সুদ
      • সংশয় নিরসন
      • মাদকাসক্তি
      • পর্নোগ্রাফি
      • সমসাময়িক
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
      • বাংলার ইতিহাস
      • উপমহাদেশের ইতিহাস
      • ইসলামের ইতিহাস
      • বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস
    • ইসলাম ও মতবাদ
      • গণতন্ত্র
      • সমাজতন্ত্র
      • রাজতন্ত্র
      • পুঁজিবাদ
      • উদারতাবাদ
      • নারীবাদ
      • মুসলিম দর্শন
      • অন্যান্য মতবাদ
    • সাহিত্য-সাময়িকী
      • গল্প
      • কবিতা
      • প্রবন্ধ
      • রম্যগল্প
      • সাহিত্য সমালোচনা
      • বুক রিভিউ
      • ফিচার
    • বিজ্ঞান
      • ডক্টর’স চেম্বার
      • মুসলিম বিজ্ঞান
      • করোনা
      • সায়েন্স ফিকশন
    • সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
      • ঈদুল ফিতর
      • ঈদুল আজহা
      • হিজরি নববর্ষ
      • কারবালা
      • মহররম
      • হামদ
      • নাতে রাসুল
      • ইসলামী গান
    • অন্যান্য
      • বাংলাদেশ
      • শিশুতোষ
      • মাসয়ালা-মাসায়েল
      • প্রত্যাবর্তন
      • উম্মাহর সংকট ও সমাধান
      • ভ্রমণকাহিনী
  • নোটিশ
  • ম্যাগাজিন
  • যোগাযোগ
No Result
View All Result
মিম্বার
মূলপাতা অন্যান্য

আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়: মুসলিম সভ্যতার নিদর্শন

ওয়াহিদুল হাদী

টপিক: অন্যান্য
Share on FacebookShare on TwitterShare on WhatsAppShare on TelegramSend Email

জেরুসালেমে দাঁড়িয়ে আছেন উমার (রা)। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বেশ ছটফট করছেন। তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে আরবের পাশের মহাদেশ। যে করেই হোক তিনি সেখানে যেতে চান এবং বিজয় করতে চান। তর যেন আর সইছে না।

এগিয়ে গেলেন আমীরুল মূমিনিন উমারের (রা) কাছে। উমারের (রা) মুখোমুখি হয়ে বললেন, “ইয়া আমীরুল মূমিনিন! আপনি আমাকে ৪,০০০ সৈন্য দিন, আমি আপনাকে মিশর বিজয় করে দিবো।” প্রস্তাব শুনে উমার (রা) না করে দিলেন। কিন্তু তিনি তো নাছড়বান্দা, পীড়াপীড়ির কারণে শেষ অব্দি উমার (রা) তাকে অনুমিত দিতে বাধ্য হলেন। ৪,০০০ হাজার সৈন্যের সেনাপ্রধান করে আ’মর ইবনে আল-আসকে (রা) পাঠিয়ে দিলেন মিশরের দিকে।

অনুমিত পেয়ে আ’মর (রা) তার দলগঠন করলেন। সবকিছু প্রস্তুতি নিয়ে তিনি আল্লাহর নামে সেদিকে ছুটে গেলেন। মিশর তখনো আলোহীন, আলোকিত করতে আসছে মুসলিমরা। দলবল নিয়ে আ’মর (রা) মিশরের দাঁড় প্রান্তে, এদিকে উমারের (রা) দরকার পড়লো এই সৈন্যদেরকে অন্য জায়গায় পাঠানোর। তিনি আ’মরকে (রা) চিঠি লিখে বলেন যে, ‘যদি তোমরা মিশরে না প্রবেশ করো,তাহলে ফিরে আসো।’ দূত যেদিন চিঠি হস্তান্তর করলো, সেদিন আ’মর (রা) ও তার বাহিনী মিশরে ঢুকে পড়েছে। তাই তারা ফিরে না গিয়ে সামনে অগ্রসর হতে লাগলেন।

মিশর ছিল রোমানদের ছায়াতলে। মুসলিমরা ততদিনে সুপারপাওয়ারে পরিণত হয়েছে। সেই ভয়ে রোমানরা জান দিয়ে নিজেদের রক্ষা না করলেও সেখানে থাকা সৈন্যরা প্রাণপণে লড়ে গেলো। কিন্তু মুসলিমদের সামনে তারা কী আর টিকে থাকতে পারবে নাকি! যেখানে তারা জানে মুসলিমরা যুদ্ধের ময়দানে কেমন দাপিয়ে বেড়ায়।
পৌঁছালেন মিশরে, নীল নদের দেশ, সেই দেশ একটি সভ্যতার দেশ, কেনো যেনো মিশর সবার চোখের মণি ছিল। সেই মিশরে প্রবেশ করে একেরপর এক নগরী বিজয় করতে থাকলেন। প্রতিরোধ ভেঙ্গে মুসলিমরা বীর বিক্রমে এগিয়ে যেতে থাকে বহুল আকাঙ্ক্ষিত শহর ‘আলেকজান্দ্রিয়া’।

আলেকজান্দ্রিয়া বিজয় করার পর উমারের (রা) পরামর্শ নিয়ে তিনি মিশরের রাজধানী নিয়ে আসলে ফুসতাত নগরীতে। এর কারণ অনেক ছিল। মিলিটারি দৃষ্টিতে আলেকজান্দ্রিয়া ছিল ঝুঁকিপূর্ণ একটি শহর, যেকোনো সময়ে আক্রমণের স্বীকার হলে মুসলিমরা একে অন্যকে সাহায্য করতে পারবে না। আ’মর (রা) জরীপ করলেন এবং সিদ্ধান্ত নিলেন “ফুসতাত” হবে মিশরের নতুন রাজধানী। সেই থেকে শুরু ফুসতাতের বিরচন। মুসলিমরা গড়ে তুললো এক বিশাল সভ্যতা। ইসলামের ছড়িয়ে যেতে লাগলো দাবানলের মতন। মানুষও এসে আশ্রয় নিলো ইসলামের ছায়াতলে যেখানে তারা পেলো ন্যায়-বিচার, সভ্যতা, ধর্ম পালনের সুযোগ, শান্তি ইত্যাদি।

rent.2goeu.com
hottubtravels.com
24bottle
coreamex
nike dunk nfl
sukapital
outlet bologna
ajwebcode
detroit lions jersey
blog.natvitasuplementos.com.br
globalpetbrands.co.jp
Iowa State Football Uniforms
technosavvysolutions
harmont & blaine outlet shop online
goldenhost

কয়েক বছরের মধ্যেই মিশর হয়ে উঠলো ইসলামের জ্ঞানার্জনের অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র। আ’মরের (রা) আমল থেকেই একে একে মুসলিমরা সেখানে স্থানান্তর হতে লাগলো, মানুষের সাথে মিশে নতুনভাবে জীবনযাপন শুরু করে। উসমানের (রা) শাসনামলে আ’মরকে (রা) গভর্নরের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তার পর ফিতনা শুরু হলে তিনি মুয়াবিয়ার (রা) পক্ষে থেকে বাকি জীবন দামেস্কেই পার করেন।

নীল নদের সচ্ছল বহমান পানির মতন মিশরের ফুসতাতে জ্ঞানের ধারা বহমান থাকলো। একটিবারের জন্যও থামেনি। মুসলিম বিশ্ব বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত কিন্তু মিশর তার নিয়মেই চলছিল।

উমাইয়্যাদের কচুকাটা করে আব্বাসীরা ক্ষমতার মসনদে বসে। আব্বাসীদের ক্ষমতায় আসার অন্যতম সহায়ক ছিল শিয়ারা। তখন কিন্তু পলিটিকাল শিয়ার জামানা ছিল না, থিওলজিক্যাল ভিত্তিক শিয়ার জামানা ছিল। তাদের সাহায্য আব্বাসীরা রক্তক্ষরণে বিপ্লব করে ক্ষমতায় আসে। আসার পর তারা ভাবলো এবার বুঝি শিয়ারা যে স্বপ্ন দেখতো তা বাস্তবিক হবে। কিন্তু তাদের ইচ্ছাকে মিটিয়ে দিয়ে আব্বাসীরাই শিয়াদের দমন করা শুরু করলো। এ অবস্থা দেখে তাদের হুশ জায়গায় রইলো না। শিয়াদের উৎপত্তিস্থল ছিল ইরান, ইরাকের আশেপাশে। পূর্ণ শক্তি দিয়ে এই অঞ্চলে না দাঁড়াতে পারলেও তারা বেছে নেয় অত্যন্ত দারুণ একটা অঞ্চল।

পরিকল্পনামাফিক তারা এগিয়ে যেতে থাকে এবং মিশরে তাদের খুঁটি মাটিতে ভালোভাবে গড়ে নেয়। মিশরের সাধারণ জনগণ শিয়া না হওয়ায় তারা এতো মাথা ঘামায়নি। তবে শিয়ারা যে এতো দ্রুত তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ফেলবে তা হয়তো কেউ ভাবেনি। হুট করে তারা মিশরে শেকড় পাকাপোক্ত করে ঘোষণা দেয় নতুন এক খিলাফাহর আর তার নাম “ফাতেমী খিলাফাহ”

ফাতেমী খিলাফাহ ঘোষণার পরপরই তারা আব্বাসীদের থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং সতন্ত্রভাবে দেশ পরিচালনা করতে থাকে। আব্বাসীদের কিছুই করার ছিল না কারণ তাদের ঐ পরিমাণ মনোবল ততদিনে শেষ হয়ে গিয়েছে, খলিফাদের চালাতো উজিররা। মুসলিম বিশ্বে তখন ৩টি খিলাফাহ ১)আব্বাসী ২)উমাইয়্যাহ ৩)ফাতেমী।

ফাতেমীরা মিশরের রাজধানী ফুসতাত থেকে স্থানান্তর করে ২ মাইল দূরে নতুন এক নগরীতে নিয়ে আসে, যার নাম “কায়রো।” কায়রো থেকেই তারা তাদের শাসনকার্য পরিচালনা করতে থাকে। এখন তাদের চিন্তা হলো তাদের থিওলজী মিশরে পাকাপোক্ত করতে হবে, ফাতেমীদরা ছিল ঈসমাইলী শিয়া, যারা খুবই ভয়ংকর ছিল, তারা ভাবলো কিছু করা দরকার। ব্যস! তারা কায়রোতে একটা মসজিদ তৈরি করলো, যেখানে তাদের থিওলজি পড়ানো হবে, তাদের মতন পরিচালনা করবে, এখান থেকে বড় বড় ছাত্রগণ বের হয়ে তাদের চিন্তাধারা বিশ্বে তুলে ধরবে।
ততকালীন যুগে মসজিদকে কেন্দ্র করে জ্ঞানার্জন বা সভ্যতার বিকাশ ঘটতো। সেই মসজিদকে আস্তে আস্তে ফাতেমীদরা সেটাকে পরিণত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে, যার নাম “আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়!”

আল আজহারকে বড় করা হয়, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছাত্ররা আসতে থাকে জ্ঞানার্জনের জন্য। ৯৭৫ খৃষ্টাব্দে প্রথম দারস হয়। এই থেকে যাত্রা শুরু আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের। আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়কে বিকাশের জন্য ফাতেমীদরা অর্থায়ন করতো, তারা আল-আযহারকে পৃথিবীর সামনে এক উদাহরণ হিসবে দাঁড় করিয়েছিল। মানুষের মনে জ্ঞানার্জন আকৃষ্ট করতে পারলেও কেনো যেন তারা মানুষদেরকে তাদের থিওলজির দিকে নিতে পারছিল না। এক্ষেত্রে তারা একদম ব্যর্থ বলা যায়।

আল-আযহার, আন্দালুস, বাগদাদ ততদিনে মুসলিমদের জ্ঞানার্জনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু মুসলিমদের বিশাল একটি অংশ ভোগবিলাসে মগ্ন।
খৃস্টানরা যখন দেখলো মুসলিমরা ভোগবিলাসে মগ্ন তখন তারা ক্রুসেডের ডাক দিলো। ৭টি দেশ অংশগ্রহণ করে জেরুসালেম উদ্ধারের জন্য। ৩ দেশের রাজা, যথা ফ্রান্স, জার্মানি ও ইংল্যান্ডের রাজারা খোদ এই সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেয়। জানেন এই বাহিনীর কতজন সৈন্য ছিল? ৫শ হাজারের বেশি।
ক্রুসেডরা সবদিকে ছড়িয়ে পড়লো। জার্মানরা তুর্কি হয়ে সিরিয়ার আনতাকিয়া অবরোধ করে। তারা বিরবিক্রমে লড়ে যায়। তাদের একমাত্র বের হওয়ার পথ ছিল সমুদ্র যা কিনা মিশরের সাথে সংযুক্ত। যুদ্ধের একটা পর্যায়ে আনতাকিয়া মিশরের সাহায্য চায় কিন্তু মিশরের নেতা চিঠি পাঠিয়ে বলেন, “আমার অমুক সুন্দর ভেড়ীটা দরকার ও ক্যালিগ্রাফি জানা লোক দরকার।” এই চিঠি পেয়ে তারা আত্মসমর্পণ করে এবং এতে জেরুসালেমের এক্সেস সহজেই ক্রুসেডাররা পেয়ে যায়।
৯৯ বছর জেরুসালেম তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমরা ৩ বার নিজেদের করে আনলেও বারবার হাতছাড়া হয়ে যায়। শেষের বার উদ্ধার করেন সালাহুদ্দীন আল আইয়্যুবি (র)।

সালাহুদ্দীন (রা) ও তার সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে জেরুসালেম বিজয় করতে। বিজয়ের জন্য তাদের অন্যতম সাপোর্ট দরকার ছিল ফাতেমীদদের।

ফাতেমিদদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয় যে, ফাতেমি সাম্রাজের সৈন্যরা একদিক থেকে আক্রমণ করুক আর আমরা অপরদিকে। ফাতেমিরা কথা দিলো। কিন্তু যেই দলসমূহ চলে গেলো, সাথে সাথে তারা ক্রুসেডারদের সাথে হাত করে নুরুদ্দীনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গেলো।
প্রতিনিধি দল আবারও ফিরে এসে তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বললো, না না, তারা এসব কোনো চুক্তি করেনি। তারা মুসলিমদের সাথেই আছে। কিন্তু তাদের মধ্যে যে একটা চুক্তি হয়েছিল তা সবাই ভালো মতন বুঝতে পারলেন।
নুরুদ্দীন জাঙ্গকী এরই মধ্যে দুর্দান্ত এক পদক্ষেপ নিলেন। তিনি তার বাহিনীকে ফিলিস্তিন হয়ে ক্রুসেডারদের সাথে যুদ্ধ না করে মিশরে এসে আক্রমণ করালেন আসাদ উদ্দীনের দ্বারা। ফাতেমি নেতা তখন তার সৈন্য প্রস্তুত করতে লাগলো। কিন্তু আসাদ উদ্দীন বুঝে গেলেন ফাতেমিরা চাল খেলছে। তিনি ফিরে এসে কায়রো নিজের করে নিলেন। আবারও তারা যুক্ত হওয়ার আশ্বাস দিলো। কিন্তু সালাহুদ্দীন বুঝে গেলেন এরা কোনোদিন এক হবে না।

চাচাকে অবগত করলে তিনি কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। কিন্তু সালাহুদ্দীন কোনো কথা না শুনে কিছু সংখ্যক যুদ্ধা নিয়ে প্রাসাদে ঢুকে ফাতেমি সাম্রাজের নেতাকে হত্যা করে ফেলেন এবং নিজেই সেই সিংহাসনে বসেন। দুই মাস পর আসাদ উদ্দীন ইন্তেকাল করেন। নুরুদ্দীন তখন সালাহুদ্দীনকে মিশরের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করেন।
ফাতেমী খলিফাকে হত্যার মধ্য দিয়ে ফাতেমী সাম্রাজের অবসান ঘটে। সালাহুদ্দীন (র) মিশরকে আব্বাসী খিলাফার পতাকাতলে নিয়ে আসেন। ক্ষমতায় গিয়ে তিনি আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধ করে দেন। এবার তিনি মানুষদের মধ্যে থিওলজিকাল চেঞ্জ নিয়ে আসেন। শিয়া দ্বারা মিশর শাসিত হলেও শিয়া মতবাদ দ্বারা তেমন প্রভাবিত হয়নি। এতে সহজেই মুসলিমদেরকে তাদের আসল চিন্তা চেতনায় নিয়ে যেতে সহজ হয়ে উঠে।

যখন পরিবেশ অনুকূলে চলে আসে ঠিক সেই সময় পৃথিবীর জন্য আল-আযহার খুলে দেয়া হয়। আবারও পড়াশোনা শুরু হয় পুরোদমে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই পড়াশোনার সুযোগ পেত এমনকি আহলে কিতাবের লোকেরাও। সালাহুদ্দীন এখনে ক্লাস সিস্টেম করে দেন, লাইব্রেরি তৈরি দেন।

বিখ্যাত বিখ্যাত আলেমগণ এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে হলেন, ইবনে খালদুন, ইবনে হাজার আল-আসকালানী, ইবনে তাঘরি বারদী, মূসা ইবনে মায়মুন, আল হাসান ইবনে আল-হাইসাম, মুহাম্মদ ইবনে ইউনুস আল-মিসরী ও আল-ক্বালকাশান্দীসহ অনেকে। তাদের অবদান মুসলিম বিশ্বে অতুলনীয়। বর্তমান জামানার ইমামুল ওয়াসাতিয়্যাহ ইউসুফ আল-ক্বারদাউইহ (হাফিযাহুল্লাহ) এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।

সেই সময়কার আল-আযহারে ফিকহী স্কুল হানাফী, শাফেঈ, মালিকী, হাম্বলির উপস্থিত ছিল যা আজও বিদ্যমান। শরীয়াহ, আইন, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদিও তখনকার মতন এখনো আছে। আল-আযহার অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় সবচেয়ে আলাদা হওয়ার কারণ হলো “এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরণের মতবাদ পড়ানো হয়। ছাত্ররাই নিজ জ্ঞানে নিজেদের চিন্তাধারা বেছে নিবে।” এই না হলো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল কাজ।

আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়কে মামলুক সালাতানাতরা বেশ ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে ছিল। তারা একটাকে আরও গ্লোরিফাই করে দুনিয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর আল-আযহার আসে উসমানীয়দের হাতে। একই রকম আল-আযহার বিকাশ হতে থাকে বর্তমান অব্দি।
হাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্য আল-আযহার। কতশত স্মৃতি বহন করে আসে সে। কিন্তু সে অবশ্যই তার স্বর্ণযুগগে মিস করে, যেখানে সে ছোঁয়া পেত দুনিয়ার বড় বড় আমেলদের। তার কক্ষগুলো যেন সারাক্ষণ তালিমের মধ্যেই থাকতো। আর রাত হলেই যেন তাহাজ্জুদে ডুবে যেত।

আল-আযহার! তুমি হয়েছো ধন্য,
তোমার চারিপাশে যেন ভরপুর রহমতের অরণ্য।
তোমার শীতল ছায়ায়,
রেখেছো কতশত আলেমকে আপন মায়ায়।
তুমি যেন পরিণত না হও বাণিজ্যে,
মনে রেখো, তুমি আছো আমাদের ঐতিহ্যে।

এই টপিকের অন্যান্য প্রবন্ধ

তুরস্কের অভিনব পরীক্ষা পদ্ধতি ও পাঠদান কৌশল

তুরস্কের অভিনব পরীক্ষা পদ্ধতি ও পাঠদান কৌশল

নিজ খরচে তুরস্কে ব্যাচেলর করার আদ্যোপান্ত

নিজ খরচে তুরস্কে ব্যাচেলর করার আদ্যোপান্ত

তুর্কি দিয়ানাত ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপের আদ্যোপান্ত

তুর্কি দিয়ানাত ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপের আদ্যোপান্ত

তুরস্কে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে আবেদনের এ টু জেড

তুরস্কে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে আবেদনের এ টু জেড

বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গড়ায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা ও করণীয়

বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গড়ায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা ও করণীয়

আমাদের ব্যবহারিক জীবন: বাদ দিন বাজে অভ্যাস

আমাদের ব্যবহারিক জীবন: বাদ দিন বাজে অভ্যাস

© ২০২১ মিম্বার
প্রচার করো, যদি একটিমাত্র আয়াতও হয়

No Result
View All Result
  • মূল পাতা
  • বিষয়শ্রেণী
    • বেসিক ইসলাম
      • আক্বিদা
      • নামাজ
      • রোজা
      • হজ্জ
      • যাকাত
      • পর্দা
      • জিহাদ
      • আখিরাত
      • সুন্নাত
    • বেসিক ইলম
      • উলুমুল কোরআন
      • উলুমুল হাদিস
      • সিরাতে রাসুল
      • ইসলামি শরীয়াহ
      • ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা
      • তাযকিয়াতুন নাফস
      • ইসলাম ও অর্থনীতি
      • ইসলাম ও রাজনীতি
      • ইসলাম ও সমাজনীতি
    • জীবনী
      • নবীদের জীবনী
      • সাহাবায়ে কেরামের জীবনী
      • ইসলামি মনীষীদের জীবনী
      • কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী
    • সমস্যা, সম্ভাবনা ও প্রতিকার
      • যুব সমস্যা
      • প্যারেন্টিং
      • সময় ব্যবস্থাপনা
      • সাংস্কৃতিক আগ্রাসন
      • ধর্ষণ
      • সুদ
      • সংশয় নিরসন
      • মাদকাসক্তি
      • পর্নোগ্রাফি
      • সমসাময়িক
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
      • বাংলার ইতিহাস
      • উপমহাদেশের ইতিহাস
      • ইসলামের ইতিহাস
      • বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস
    • ইসলাম ও মতবাদ
      • গণতন্ত্র
      • সমাজতন্ত্র
      • রাজতন্ত্র
      • পুঁজিবাদ
      • উদারতাবাদ
      • নারীবাদ
      • মুসলিম দর্শন
      • অন্যান্য মতবাদ
    • সাহিত্য-সাময়িকী
      • গল্প
      • কবিতা
      • প্রবন্ধ
      • রম্যগল্প
      • সাহিত্য সমালোচনা
      • বুক রিভিউ
      • ফিচার
    • বিজ্ঞান
      • ডক্টর’স চেম্বার
      • মুসলিম বিজ্ঞান
      • করোনা
      • সায়েন্স ফিকশন
    • সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
      • ঈদুল ফিতর
      • ঈদুল আজহা
      • হিজরি নববর্ষ
      • কারবালা
      • মহররম
      • হামদ
      • নাতে রাসুল
      • ইসলামী গান
    • অন্যান্য
      • বাংলাদেশ
      • শিশুতোষ
      • মাসয়ালা-মাসায়েল
      • প্রত্যাবর্তন
      • উম্মাহর সংকট ও সমাধান
      • ভ্রমণকাহিনী
  • নোটিশ
  • ম্যাগাজিন
  • যোগাযোগ

© 2020 মিম্বার